ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

জেলার পুজামন্ডপগুলো সেজেছে অপরূপ সাজে : আজ মহাসপ্তমী

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: হিন্দু ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজার মহা সপ্তমী আজ। মহা ধুমধামে শুরু হওয়া দূর্গাপুজার গতকাল ছিলো মহাষষ্টী। রীতি অনুযায়ী দেবীর বোধন হয় গতকাল শনিবার। এবারে দেবী মর্ত্যে এসেছেন হাতির (গজ) পিঠে। গতকাল ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া শারদীয়া দূর্গাপুজার আজ মহাসপ্তমী। কাল ৩ অক্টোবর অষ্টমী, ৪ অক্টোবর নবমী ও ৫ অক্টোবর দশমীর মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হবে ৫ দিনব্যাপী শারদীয়া উৎসব।

এদিকে ধর্মীয় এই উৎসবকে ঘিরে অপরূপ সেজে সাজানো হয়েছে জেলার পূজা মন্ডপ। গতকাল দেবীকে বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া দুর্গাপুজার আজ সকাল-সন্ধ্যা থেকে শুরু হচ্ছে মহাধুমধামে। ইতিমধ্যেই ঢাকঢোলের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে জেলার পুজা মন্ডপগুলো।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার পৌর শহরের ইন্দ্রসেন দূর্গাবাড়ী, স্বরসতী বাড়ী, কালী বাড়ী, ঘোনার পাড়া, বঙ্গপাহাড়, মহাজের পাড়া, হাসপাতাল সড়ক, বিজিবি ক্যাম্প, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আয়োজিত সংশ্লিষ্ট পুজা মন্ডপগুলোও সেজেছে অপরূপ সাজে। সন্ধ্যায় ধূপ-দ্বীপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতিতে মুখরিত হয়ে উঠে পূজামন্ডপগুলো। পূজায় প্রতিটি পূজামন্ডপে দেবীদূর্গার পাশাপাশি পূজিত হচ্ছেন শিব, গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ স্ব-পরিবারের প্রতিমা।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি পূজা মন্ডপকে সুন্দর ও স্বার্থক করে তোলার জন্য প্রশাসনের রয়েছে নিশ্চিন্দ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন ধরণের বিচ্ছিন্ন ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্যও রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর নজরদারি। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য পৌর শহরের বিভিন্ন মোড়ে সাদা পোশাকদারী সংশ্লিষ্ট বাহিনীর তৎপতার রয়েছে বলে জানা গেছে।

শহর পূজা কমিটির সভাপতি তপন দাশ ও সাধারণ সম্পাদক জনি ধর জানান, ভিন্ন সাজে সজ্জিত পূজামন্ডপগুলো কক্সবাজার পৌর শহরকে আলোকিত করে উৎসবমুখর আমেজে পরিণত করেছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের স্বত্বঃস্ফুত আগমনে উৎসবমন্ডপকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। প্রতিটি পূজামন্ডপে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
চকরিয়া পূজা কমিটির সভাপতি তপন দাশ জানান, এবারে চকরিয়া উপজেলায় (চকরিয়া পৌরসভাসহ) ৪৮টি প্রতিমাপুজা, ৪৪টি ঘটপুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারের প্রদত্ত বিভিন্ন মন্ডপে অনুদান সহ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান আমরা সম্পন্ন করেছি। আমরা আশা করছি কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া পূজো সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, এবারে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১৭টি প্রতিমাপুজা, ১১টি ঘটপুজা, ঈদগাঁও উপজেলায় ১৭টি প্রতিমাপুজা, ৯টি ঘটপুজা, কক্সবাজার পৌরসভায় ১১টি প্রতিমাপুজা, ১০টি ঘটপুজা, রামু উপজেলায় ২২টি প্রতিমাপুজা, ১০টি ঘটপুজা, চকরিয়া উপজেলায় (চকরিয়া পৌরসভাসহ) ৪৮টি প্রতিমাপুজা, ৪৪টি ঘটপুজা, পেকুয়া উপজেলায় ৫টি প্রতিমাপুজা, ৪টি ঘটপুজা, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১৩টি প্রতিমাপুজা, ৩২টি ঘটপুজা, মহেশখালী উপজেলায় (মহেশখালী পৌরসভাসহ) ১টি প্রতিমাপুজা, ৩০টি ঘটপুজা, উখিয়া উপজেলায় (রোহিঙ্গা ক্যাম্প সহ) ৮টি প্রতিমাপুজা, ৮টি ঘটপুজা, টেকনাফ উপজেলায় ৬টি প্রতিমাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

পাঠকের মতামত: